প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টাদের কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের সাংসদ রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, ‘ট্রানজিট, শুল্ক কাঠামো ও টিপাইমুখ বাঁধসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের উপদেষ্টারা এমনভাবে কথা বলেন, শুনে মনে হয়, তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা নন, তাঁরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উপদেষ্টা।’
জাতীয় সংসদে আজ রোববার রাষ্ট্রপতির ভাষণ-সম্পর্কিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মহাজোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন বাংলাদেশ নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করে না। কিন্তু তিস্তা চুক্তি, টিপাইমুখ বাঁধ এবং ট্রানজিটের মাশুল নিয়ে উপদেষ্টা নামের আমলারা বালখিল্যতা করেছেন। আমলারা—যাঁরা এক্সটেনডেট গুডলাইফ লিড করছেন, তাঁরা যখন এই ধরনের কথা বলেন, তখন জনমনে হতাশার সৃষ্টি হয়।’
মেনন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিরাজমান সমস্যা নিরসনের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সীমান্তে আজও মানুষ হত্যা হচ্ছে, টিপাইমুখ বাঁধ প্রশ্নের সমাধান হয়নি, তিস্তায় পানি পাইনি।’ তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে, সে সরকারের রূপরেখা কী হবে এবং সেই সরকারের প্রশাসনিক বিন্যাস কী হবে, তা এখনই স্থির করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল যেন বাইরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করুন।’
বিরোধী দলের উদ্দেশে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সংসদে এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে কথা বলুন। সংসদে আসতে লজ্জা হলে সংসদের বাইরে প্রস্তাব দিন।’
ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাংসদ বলেন, ‘শেয়ারবাজারে যে লুটপাট হয়েছে, তার জন্য অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, তা সংসদে তুলে ধরুন।’ তিনি বলেন, ক্রসফায়ার, গুম ইত্যাদি ঘটনায় মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিক সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা হচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দিকে ঠেলে দিয়ে নিজের কাঁধ মুক্ত করেছেন।
মেনন বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সংবিধানে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধের বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিও তাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আরও আলোচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, হুইপ শেখ আবদুল ওহাব, এন এম মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদ প্রমুখ।
পরে সংসদের অধিবেশন কাল সোমবার বিকেল পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
জাতীয় সংসদে আজ রোববার রাষ্ট্রপতির ভাষণ-সম্পর্কিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মহাজোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন বাংলাদেশ নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাস করে না। কিন্তু তিস্তা চুক্তি, টিপাইমুখ বাঁধ এবং ট্রানজিটের মাশুল নিয়ে উপদেষ্টা নামের আমলারা বালখিল্যতা করেছেন। আমলারা—যাঁরা এক্সটেনডেট গুডলাইফ লিড করছেন, তাঁরা যখন এই ধরনের কথা বলেন, তখন জনমনে হতাশার সৃষ্টি হয়।’
মেনন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিরাজমান সমস্যা নিরসনের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সীমান্তে আজও মানুষ হত্যা হচ্ছে, টিপাইমুখ বাঁধ প্রশ্নের সমাধান হয়নি, তিস্তায় পানি পাইনি।’ তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে, সে সরকারের রূপরেখা কী হবে এবং সেই সরকারের প্রশাসনিক বিন্যাস কী হবে, তা এখনই স্থির করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল যেন বাইরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করুন।’
বিরোধী দলের উদ্দেশে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সংসদে এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে কথা বলুন। সংসদে আসতে লজ্জা হলে সংসদের বাইরে প্রস্তাব দিন।’
ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাংসদ বলেন, ‘শেয়ারবাজারে যে লুটপাট হয়েছে, তার জন্য অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ বিভ্রান্ত হচ্ছে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, তা সংসদে তুলে ধরুন।’ তিনি বলেন, ক্রসফায়ার, গুম ইত্যাদি ঘটনায় মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিক সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা হচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দিকে ঠেলে দিয়ে নিজের কাঁধ মুক্ত করেছেন।
মেনন বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, সংবিধানে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধের বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিও তাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আরও আলোচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, হুইপ শেখ আবদুল ওহাব, এন এম মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদ প্রমুখ।
পরে সংসদের অধিবেশন কাল সোমবার বিকেল পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।